নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৩ লাখ আট হাজার টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৯টি শেয়ার ৬৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি আট লাখ ২৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯৬ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ১৯ পয়সা ও ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছিল ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ছয় কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২২ দশমিক ৭৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৫ দশমিক ৫৪। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৯০ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি চার লাখ ৮১ হাজার ২০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৪২ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর দুই দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বা পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৬ হাজার ৭৭৯টি শেয়ার মোট ৫২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২১২ টাকা থেকে ৩৫৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৬১ পয়সা ও এনএভি ৪১ টাকা আট পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে আট টাকা ৯২ পয়সা ও ৪৮ টাকা ২৫ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গেইনার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এইচআর টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ১২ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রোর ছয় দশমিক ১৫ শতাংশ, রেকিট বেনকিজারের ছয় দশমিক ১২ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের পাঁচ দশমিক ৬১ শতাংশ দর বেড়েছে।