নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড এবং বিমা খাতের কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর তাদের প্রাপ্ত রেটিং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফারইস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড।
‘জেড’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির সাত কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার।
ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি প্লাস’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১৭০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি আট লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮১ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং বাকি ৩৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত) দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৭ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৬ পয়সা।