দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার (ইউনিক), অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা, ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ প্রতিনিধিদল, স্পেন দূতাবাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমি ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীতে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘ওপেন হেরিটেজ উইক, ২০১৯। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের পারফরম্যান্স আর্টস, প্রদর্শনী, কর্মশালা, বক্তৃতা ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দর্শনের ব্যবস্থা থাকছে আয়োজন জুড়ে। পুরান ঢাকার লালকুঠি, বিউটি বোর্ডিং ও বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমিÑএ তিন স্থানে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টজ, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মেরিন শুহ, স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভারো দো সালাস ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান রাষ্ট্রদূত রেন্স টিরিঙ্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডাইরেক্টর অ্যান্ড্র– নিউটন, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার ডাইরেক্টর অলিভিয়ের ডিনটিঙ্গার ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ডাইরেক্টর কারস্টেন হ্যাকেনব্রচ।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সবারকাছে সহজে উপস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধনের উদ্দেশ্যে এসব ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল এক্সচেঞ্জ সেন্টার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ইউনিকের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর। এতে জনগণ সহজে সম্পৃক্ত হতে পারে। এর পরও এদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থাপনা অবহেলিত। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান আবাসন শিল্পের কারণে এগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজšে§র কাছে একে নতুন করে তুলে ধরতে চায় ইউনিক।
এ উপলক্ষে গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ডাইরেক্টর ড. কারস্টেন হ্যাকেনব্রচ বলেন, ওপেন হেরিটেজ উইককে কেবল একটি সূচনা হিসেবে দেখছি আমরা। ঐতিহ্যবাহী এসব স্থান শুধু বার্ষিক ভিত্তিতে উš§ুক্ত থাকুক, সেটা আমরা চাই না। বরং এগুলোকে জনগণের জন্য খুলে দিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ জমির মালিকদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ফলে স্থানীয়রা তাদের আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ঢাকার অন্য মানুষদেরও তাদের সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য বিনির্মাণে যুক্ত করতে সমর্থ হবে। এ ধরনের আয়োজন ঢাকার মানুষকে তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্যসংক্রান্ত ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডাইরেক্টর অ্যান্ড্র– নিউটন বলেন, ঐতিহ্যকে বদ্ধ না রেখে তা সবার জন্য উš§ুক্ত করে দেওয়া উচিত।
এরই মধ্যে পুরান ঢাকার সমৃদ্ধ ইতিহাস কীভাবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিকে প্রভাব বিস্তার করেছে, তার ওপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ১৫ ডিসেম্বর বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমির অডিটোরিয়ামে কাওয়ালি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ‘ওপেন হেরিটেজ উইক, ২০১৯’ শেষ হবে।