শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯-এর অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের বিএ.২ উপধরনটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। কেননা এটি যে ওমিক্রনের মূল ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক, তা জানা গিয়েছিল। তবে এটি মূল ধরনের চেয়ে বেশি মারাত্মক কি না, তা নিয়ে গবেষণা চলছিল। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, বিএ.২ উপধরনটি এখন আর মূল ধরনের চেয়ে বেশি মারাত্মক নয়। খবর: এএফপি।
ডব্লিউএইচও’র সংক্রামক রোগবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ করোনাভাইরাসের রূপান্তর নিয়ে পর্যালোচনাকারী বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের নমুনা পরীক্ষা ভিত্তিতে তারা সম্মত হয়েছেন যে গুরুতর রোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ওমিক্রনের মূল ধরন বিএ.১ ও উপধরন বিএ.২-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তার মতে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বিবেচনায় নিলে এ দুই ধরনের সক্ষমতা সমপর্যায়ের। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ অনেক দেশে বিএ.১ ও বিএ.২ দুটোরই একই সঙ্গে বিস্তার দেখা গেছে।
ডেনমার্কসহ যেসব দেশে অমিক্রনের বিএ.২ ধরনের বিস্তার দেখা গেছে সেসব দেশে ডব্লিউএইচওর নতুন এ ঘোষণাটি স্বস্তিকর হবে। একই সঙ্গে স্বস্তি বিশ্বের সব দেশের জন্যও। আরও আশার কথা বিশ্বজুড়ে সব ধরনের বিস্তার কমছে।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিএ.২ উপধরনটি সহজাতভাবে অনেক বেশি সংক্রামক। এ বিষয়টি জানতে আরও গবেষণা চলছে। মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত) বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপর রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও ভারত। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ কোটি ৭৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ২৩ হাজার। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা দুই বা তিন গুণ বেশি হতে পারে।