শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯-এর নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর: এএফপি।
অল্প দিনেই অতিসংক্রামক ওমিক্রনে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘কল্পনাতীত ও বেদনাদায়ক’ বলছে ডব্লিউএইচও।
সংস্থার ইনসিডেন্ট ম্যানেজার আবদি মাহামুদ বলেছেন, গত বছর নভেম্বরের শেষ দিকে ওমিক্রনকে করোনাভাইরাসে ‘উদ্বেগজনক এক নতুন ধরন’ ঘোষণা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় কভিডে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে পাঁচ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে বিশ্বে দাপট দেখায় ডেল্টা। আগের ধরনকে ছাড়িয়ে গেছে ওমিক্রন। কারণ এটি আরও সংক্রামক। তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন, ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থতার হার তুলনামূলক কম।
আবদি মাহামুদ একাধিক টিকা উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, কার্যকর টিকার এই যুগে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যুর এমন ঘটনা সত্যিই উদ্বেগজনক। সবাই বলছেন ওমিক্রন মৃদু কিন্তু তারা এটা বলতে ভুলে যাচ্ছেন যে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন।
সংস্থাটির কারিগরিবিষয়ক প্রধান মারিয়া ভন কেরখোভ বলেন, ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যাও আশ্চর্যজনক। শনাক্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি হতে পারে।
তাছাড়া কভিড মহামারিতে বিশ্বজুয়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত) বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ। একই সময় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে ২১ লাখে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপর রয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, ইতালি, স্পেন ও আর্জেন্টিনা। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ কোটি ২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ লাখ ৮১ হাজার। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭ জনে।