ওমিক্রন আতঙ্ক ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

মুতাসিম বিল্লাহ মাসুম: প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানো ভাইরাসের শ্রেণিবিন্যাসকারী বৈশ্বিক পরিষদ (আইসিটিভি) ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি করোনার নতুন ধরনের নামকরণ করেছে ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস টু (SARS-CoV-2)’। এরপর প্রাণঘাতী এ রোগের কয়েকটি ভাইরাস দেখেছে বিশ্ববাসী। সর্বশেষটির নাম ওমিক্রন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ছিল সর্বদা পরিবর্তনশীল। আর অঞ্চলভেদে ভাইরাসের ভয়াবহতার তারতম্য পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে ভাইরাস থেকে সৃষ্ট সমস্যার কারণে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হলেও পরবর্তী সময়ে তার অনেকটা মানিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা। কারণ মহামারির মধ্যে অন্য সব কাজ অল্প পরিসরে করা গেলেও শিক্ষাক্ষেত্রে নেমে এসেছিল একেবারে ধীরগতি। তাই ওমিক্রন আতঙ্কে আরও একবার চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের গতিশীলতা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। মহামারি কভিডের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। অতঃপর কখনও থেমে থেমে আবার কখনও দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা হলেও শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ায় শঙ্কা বিবেচনা করে প্রতিবারই সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ মাস পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আবার দেখা দিয়েছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আতঙ্ক। এরই মধ্যে দুই সংখ্যায় রূপ নিয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে আবারও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা কি সব সমস্যার সমাধান! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সৃষ্ট কয়েকটি সমস্যা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

প্রথমত, প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে যাওয়া। মহামারিতে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রযুক্তির প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এবং তার অন্যতম কারণ টিকটক, পাবজি, ফ্রি-ফায়ার কিংবা অন্যান্য কার্টুন। কভিডকালে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ইউনিসেফ একটি জরিপ করেছে। সেখানে ২৩৯টি স্কুলের এক হাজার ২৮১ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক পরিসংখ্যানে বেশ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৯৪ শতাংশ শিশুর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আছে। তাদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ৩৭ শতাংশ শিশু বাবা-মায়ের ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

জরিপে ১১ বছরের নিচে ২৫ শতাংশ শিশুকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ৬৫ শতাংশ শিশু নিজের পৃথক কক্ষে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, যেখানে তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা পাচ্ছে। নিজের ব্যক্তিগত কক্ষ হওয়ায় ইন্টারনেটের ব্যবহারবিধি নিয়ে তাদের প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হচ্ছে না। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে গড়ে প্রতিদিন ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সম্প্রতি ৩২ শতাংশ ছেলে ও ২৪ শতাংশ মেয়ে (শিশু) সাইবার বুলিংয়ের শিকার। তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশেরই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার, রিপোর্ট, ফেক অ্যাকাউন্ট ও আনওয়ান্টেড কনটেন্ট সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। ৬৫ শতাংশ শিশু জানে কীভাবে মেসেজ ব্লক করতে হয়। ৪৫ শতাংশ শিশু প্রাইভেসি সেটিংস এবং ৪২ শতাংশ রিপোর্ট অপশন সম্পর্কে জানে। গত এক বছরে ১০ দশমিক আট শতাংশ শিশু তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে শেয়ার করেছে। ৫৭ শতাংশ শিশু অনলাইনে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেছে। ১৯ শতাংশ শিশু অপ্রীতিকর মেসেজ পেয়েছে, ১২ শতাংশ শিশু সেক্সুয়াল ছবি/ভিডিও এবং পাঁচ শতাংশ শিশুকে সেক্সুয়াল প্রস্তাবে সম্মতি দিতে জোর করা হয়েছে। প্রযুক্তিকেন্দ্রিক এমন সমস্যার পরও আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং আবারও প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীল হওয়া ‘আগুনে ঘি ঢালার’ মতো অবস্থা তৈরি করবে। উল্লেখ্য, আমরা সবাই অবগত আছি, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাম সবার ওপরে এবং সবচেয়ে সংক্রমিত এলাকা নিউইয়র্ক। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও নিউইয়র্কের মেয়র অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার পক্ষে। তিনি মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পরিবর্তে সবার সচেতন থাকা এবং কভিড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে একটি বিষয় স্বীকার্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের নির্দেশনা এবং কর্তৃপক্ষের কড়াকড়িতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য হয়। এছাড়া প্রায় দুই বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষার্থীরা কভিড প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অভ্যস্ত। এ অবস্থায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ ও বোঝা বৈ কিছুই নয়। দ্বিতীয়ত, মহামারিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কভিড মহামারির মধ্যে হতাশা, অর্থনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় অর্ধশত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা তো এ সংখ্যার কয়েকগুণ। দেশে চলমান মহামারির মধ্যে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণে যখন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ২০০, সে সময় ১১ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে গত অর্থবছরের ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এভাবে পরিসংখ্যানমতে, দেশে যত মানুষ করোনা সার্স ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণ করেছে, তার থেকে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) সূত্র বলছে, মার্চ ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এক হাজার ৫৮ জন। অন্যদিকে ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিÑএই ৯ মাসে এ সংখ্যা ছিল ৯৪০। অর্থাৎ কভিডের ৯ মাসে আত্মহত্যার হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ইউনিসেফের তথ্যমতে, মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা মহামারি থেকে ভয়ানক। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক অবসাদ থেকে মুক্ত থাকতে পারে, আবার নিজের মনের কষ্টের কথা অন্যের সঙ্গে বলতে পারে এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে সমস্যা মুক্তির পরামর্শ নিতে পারে। তাই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়ার শামিল। তৃতীয়ত, বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়া। করোনা সার্স ভাইরাসের প্রভাবে অন্য একটি মারাত্মক সমস্যা শিক্ষার্থী ঝরে পড়া। কভিড মহামারিতে অভিভাবকদের আয় কমে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাসহ নানা সংকটে প্রায় দুই বছরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। বিশেষ করে এ প্রাদুর্ভাবের পর দরিদ্র থেকে হতদরিদ্রের কাতারে এসে দাঁড়ানো পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের লেখাপড়া থেকে সরিয়ে নিয়ে ছোটখাটো কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কভিডকালে দীর্ঘদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পড়ালেখায় অনীহার পাশাপাশি এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ওপরে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। দেশের প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালে মহামারিকালে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ পরিবারের আর্থিক অনটন ও বাল্যবিয়ে। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, গত বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী দেশের ২১টি জেলার ৮৪টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৮৮৬টি বাল্যবিয়ে হয়েছে। অর্থাৎ মাসে গড়ে এক হাজার ৯৮৩টি বাল্যবিয়ে হয়েছে। এ জরিপ থেকে দেশের বাল্যবিয়ের ভয়ংকর চিত্র খুব সহজেই অনুমেয়। এ কারণগুলো ছাড়াও মহামারিতে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির পেছনে আরও কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছেলেমেয়েদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। চিরাচরিত সমাজব্যবস্থায় দেশের নারীসমাজকে এখনও দুর্বল মনে করা হয়। নারীরা পুরুষের অধীন হয়ে থাকবে এবং গৃহের আভ্যন্তরীণ কাজ করবে, এটাই চিন্তা করা হয়। মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর অধিকাংশ পরিবার মেয়েদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাল্যবিয়ের দ্বারস্থ হয়েছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের বিরাট একটা সংখ্যা শিক্ষা থেকে দূরে রয়েছে। তবে সমস্যাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়! বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া মেয়েগুলো কি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরবে? বাল্যবিয়ের কারণে দেশের জনসংখ্যা কি বৃদ্ধি পাবে? এছাড়া আরও অনেক প্রশ্ন। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাল্যবিয়ের শিকার অধিকাংশ শিক্ষার্থী আর ফিরতে পারে না তাদের স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ফলে বাল্যবিয়ের কারণে প্রতিবছর শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী এ হার ছিল প্রাথমিকে ১৪ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ২১ শতাংশ করে। অবশ্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বাল্যবিয়ে আগের তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে। সুতরাং ওমিক্রন আতঙ্কে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বাল্যবিয়ে ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গত বছরের আগস্টে ইউনিসেফের এক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, দেশের প্রায় ৪০ লাখ নতুন শিশু প্রথমবারের মতো স্কুলে গিয়ে সশরীরে ক্লাস করার জন্য অপেক্ষা করছে। আর বিশ্বব্যাপী ১৪ কোটি নতুন শিক্ষার্থী প্রথম স্কুলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। সুতরাং একথা সহজেই অনুমেয় যে, জানুয়ারিতেই নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়েছে। সুতরাং এত অল্প দিনে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এছাড়া মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, পারিবারিক কলহসহ অন্যান্য সমস্যা তো আছেই। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ওমিক্রন প্রতিরোধে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে সচেতনতা অবলম্বন করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা কার্যকর পন্থা হবে।

-শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০