নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ইসিআরএল।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৯৪ পয়সা। আর এ সময় কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল আট টাকা ৭০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ২০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার মোট ২৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ আট টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর সাত টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে চার দশমিক ৭৩। এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ৬০।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৮৪ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দশমিক ৭০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার।