নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৪ হাজার ৬৪৯টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬২০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বনিম্ন ৪২৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৬ টাকা ১৫ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ২৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১৬ টাকা ৯২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ টাকা ৬৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ), যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৩ টাকা ৭০ পয়সা।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায়, যা আগের হিসাববছর শেষে ছিল ৩৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ১৮ পয়সায়, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ১৬ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা (সম্পদ পূনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২০৮ টাকা ১৬ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা।