ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারদর ১৬ শতাংশ কমেছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের শীর্ষে ছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩০টি শেয়ার ২ হাজার ৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ১৭ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৮ পয়সা। এর আগের হিসাববছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২১ টাকা ৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৪৪ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২৩ কোটি ৫২ লাখ তিন হাজার ৭৬৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বাকি ৫৪ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রিংশাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৫ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের দর কমেছে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৩০ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ, দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৮৬ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৮৭  লাখ ৬০ হাজার টাকা।

ইভিন্স টেক্সটাইলস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের ইউনিটদর কমেছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংক পিএলসির শেয়ারদর কমেছে ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০