নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৩ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসেও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৫২ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৫৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৪টি শেয়ার মোট ৯৩৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ কোটি ১ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৩৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫৪ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭৫ টাকা থেকে ৭৫৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৪৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২১-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৩১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৫ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২৬ পয়সা।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৪৬ পয়সা ও ১২ টাকা ৬৬ পয়সা।
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির দুই কোটি তিন লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৫৫০ দশমিক ১৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৯৫ দশমিক ৩০।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এপেক্স ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, কোহিুনর কেমিক্যালস কোম্পানি লিমিটেডের ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।