নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করেই ওষুধের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এর মানে, ওষুধের গায়ে যে দাম লেখা থাকে, এর বেশি টাকা দিতে হবে না ক্রেতাকে। এ ছাড়া পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যেও একইভাবে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) মো. তারেক হাসান সই করা আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ওষুধের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম ঠিক করে দেয়। এনবিআর বলেছে, ওষুধের দামের মধ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ব্যবসায় পর্যায়ে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে। দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাটের টাকা বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী পর্যায়ের সরবরাহ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একইভাবে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিয়ে সরবরাহ মূল্য ঠিক করতে হবে।
পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের বিষয়ে বলা হয়, সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন, পেট্রোল ও ফার্নেস অয়েল) উৎপাদন পর্যায়ে কর-উত্তর মূল্য ও ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেন। অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানি করে ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে পরিশোধন করে বিপণন প্রতিষ্ঠান (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি) সরবরাহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। তবে এ ক্ষেত্রে উপকরণ রেয়াত নেওয়া যাবে।
ওষুধ কিনতে ক্রেতাকে আলাদা ভ্যাট দিতে হবে না
