Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 6:14 pm

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইনের ভর্তিকেন্দ্র বাংলাদেশে

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত ভারতের প্রথম ও একমাত্র ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন (ডব্লিউইউডি) বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোয় ভর্তিকেন্দ্র চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার জন্য নিবেদিত এই বিশ্ববিদ্যালটিতে ভর্তির সুুযোগ পাবেন। ইংরেজি ভাষাভাষীর দিক থেকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বছরমেয়াদি ভিসার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হচ্ছে।
সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার প্রস্তুতির জন্য বাস্তব জ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি অনন্য শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন উভয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইনভিত্তিক একটি উন্নতমানের শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে চায়। ৩০টি বিশেষায়িত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সৃজনশীল কোর্স ক্যাটালগ, যেমনÑফ্যাশন, প্রোডাক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গ্রাফিক কমিউনিকেশন, ভিজ্যুয়াল আর্টস, ডিজাইন ম্যানেজমেন্ট, রিটেইল ম্যানেজমেন্ট, প্রফেশনাল অটোমোটিভ মডেলিং ও আর্কিটেকচার।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসার উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজাইন। ডিজাইনে রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ, যেমনÑপাবলিশিং, ফার্নিচার, ফ্যাশন, সফটওয়্যার, এফঅ্যান্ডবি, কনজ্যুমার প্রোডাক্টস, অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রনিকস, কনস্ট্রাকশন, পাবলিকেশন, মিডিয়াসহ আরও অনেক খাত। এখান থেকে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো ব্র্যান্ডে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করলে বছরে প্রায় ৩.৩৯ লাখ থেকে ১১.৩০ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এই স্যালারি প্যাকেজটি সহজেই আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় রয়েছে, যেমনÑইউনিভার্সিটি অব হার্দাসফিল্ড, অক্সফোর্ড ব্রুক্স ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব স্কটল্যান্ড, এমিলি কার ইউনিভার্সিটি অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, ভ্যানকুভার ফিল্ম স্কুল, একলো ন্যাশনাল সুপিরিয়র ডেস আর্টস অ্যাট ইন্ডাস্ট্রিজ টেক্সটাইল (ইএনএসএআইটি) প্রভৃতি। ডব্লিউইউডি’তে দেশের সৃজনশীল কোর্সের বৃহত্তম পরিসীমা রয়েছে। এটি একটি ইউনিক কারিকুলাম অনুসরণ করে, যেটি গবেষণা, একাডেমিক এক্সিলেন্স, শিল্প প্রস্তুতি ও সামাজিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।
ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে একটি ডিজাইন অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (ডিএটি) দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভর্তিসম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে িি.িড়িৎষফঁহরাবৎংরঃুড়ভফবংরমহ.ধপ.রহ/ এই ওয়েবসাইটে। বাংলাদেশের আগ্রহী শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ, অন্যান্য সম্ভাবনা ও সম্মানীর জন্য কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে পারবেন।
এক নজরে
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন (ডব্লিউইউডি) হরিয়ানার সনিপাটের রাজীব গান্ধী এডুকেশন সিটির শিক্ষা কেন্দ্রে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালটিতে রয়েছেন উচ্চশিক্ষা ও মানসম্পন্ন ফ্যাকাল্টি মেম্বার, যারা এনআইএফটি, এনআইডি, এলসিএফ-লন্ডন, এফআইটি-নিউইয়র্ক, এসপিএ ও দিল্লি কলেজ অব আর্ট থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্টুডেন্ট-লার্নিং অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দেয়। এর উপদেষ্টা বোর্ডে রয়েছেন এজি কৃষ্ণা মেনন, পায়াল জাইন, পিটার ডি এসকলি, অমরদীপবেল ও নেহাল কিরপালের মতো ব্যক্তিত্বরা।