নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তাদের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব সংশোধন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ১ আর ১ হারে অর্থাৎ একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। (১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ারে পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে)। এর আগে কোম্পানিটি ১.২৫ আর ১ হারে অর্থাৎ ৪টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে পাঁচটি রাইট শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করেছিল। ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকা মূল্যে এ রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে সময় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি থেকে ৬০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
রাইট শেয়ার ইস্যু করে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে শিপইয়ার্ড সম্প্রসারণ, বিএমআরই এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে চায় ওয়েস্টার্ন মেরিন। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এদিকে কোম্পানিটি এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। ওইদিন সকাল ১০টায় চিটাগং বোট ক্লাব, এয়ারপোর্ট রোড, পূর্ব পতেঙ্গায় ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট আগামী ১৪ আগস্ট। বিএসইসি থেকে অনুমোদন লাভের পর আরেকটি রেকর্ড ডেট ঘোষণা করবে কোম্পানি।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে ওয়েস্টার্ন মেরিনের শেয়ারদর ৮০ পয়সা বা দুই দশমিক ৭০ শতাংশ কমে সবশেষ লেনদেন হয় ২৮ টাকা ৮০ পয়সায়। লেনদেন শেষে সর্বশেষ দর অপরিবর্তিত থাকে। গতকাল কোম্পানিটির ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৬২৩টি শেয়ার এক হাজার ৬৬৮ বার হাতবদল হয়। যার মোট মূল্য ছিল সাত কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গতকাল শেয়ারটির দর ৩০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জুলাই, ২০১৭-মার্চ, ২০১৮) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৪৬ পয়সা।
৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য তিন শতাংশ নগদসহ ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন এর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ২৪ পয়সায়। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৬ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ২০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ৫০৩টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং বাকি ৪৭ দশমিক ১০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে সংশোধন
