মাত্র দুই থেকে আড়াই হাত উঁচু গাছটি। আর এ গাছটিই আমাদের দেশের অন্যতম ভেষজ উদ্ভিদ। অশ্বগন্ধা সম্পর্কে যা জেনে নিতে পারেন :
অশ্বগন্ধার সবকিছুই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, ডাল সবই কোনো না কোনো ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত
এর মূল ও পাতা স্নায়বিক নানা রোগে উপশম আনে। দুধ ও ঘিয়ের সঙ্গে পাতা সেদ্ধ করে খেলে পুষ্টি পায় শরীর। এমনকি মস্তিষ্কের উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়
ঠাণ্ডা, কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে সেবন করতে পারেন। চোখের প্রদাহ দূরে রাখতে এর পাতা বিশেষ উপকারী
ঘুমের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ভালো ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খেতে পারেন
পুড়ে যাওয়া স্থানে জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে অশ্বগন্ধা। মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতায় বেশ কাজ করে এটি। যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করে অশ্বগন্ধা
মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধার ফল বমি দূর করে। অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা ও পেটের ব্যথা নিরাময়সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী এ ফল
বুড়িয়ে যাওয়া, হাইপারটেনশন, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস দূরে ঠেলে দেয়। একই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে
এর মূল ও পাতা অজীর্ণ দূর করে। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে
মূত্রনালির সমস্যায় ভুগে থাকলে অশ্বগন্ধা হতে পারে চমৎকার দাওয়াই
অশ্বগন্ধার রস শক্তিবর্ধক। চলৎশক্তি, কর্মশক্তি কিংবা ইন্দ্রীয়শক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী। শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম সুবিদিত।
মনে রাখা উচিত, অশোধিত অশ্বগন্ধা
গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করে। ফলে তলপেটে ব্যথা উঠতে পারে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তারা অবশ্যই অশ্বগন্ধা সেবন করবেন।
Add Comment