প্রতিনিধি, কক্সবাজার : কক্সবাজারে পালন করা হয়েছে শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল দিবস। দিন ব্যাপী আয়োজিত এ দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে নানান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা প্রশাসন।
কর্মসূচি গুলো হলো- জাতীর পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শহীদ মিনার পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালী, শহীদ এটিএম সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, একই সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভাবে আয়োজিত উদ্বোধনী ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সরকারী শিশু পরিবার ও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ পূনর্বাসন কেন্দ্রে শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন, জেলা হাসপাতালে রক্তের গ্রুপ নির্নয়, পুষ্টিবার্তা ও উন্নতমানের খাবার বিতরণ, সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তথ্য চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ইনডোর গেমস ও শিশুদের নিয়ে মার্শাল আর্ট প্রতিযোগীতা, একই স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন।
অপরদিকে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী পাঠদান, পাঠদানের গুণগত মান বৃদ্ধি, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবসের দিন নতুন ভাবে আরো ৫৯ টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। তারমধ্যে ৫৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলে ১ টি স্কুল অব ফিউচার এবং চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- প্রথম পর্যায়ে ২০১৫-২০১৯ মেয়াদে সারা দেশে ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। পরে ২০২০-২০২৩ মেয়াদে সারা দেশে আরও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং ৩০০ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০৯ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে- নতুন স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব গুলোতে আইসিটি শিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট থাকলেও প্রথম পর্যায়ে স্থাপিত ল্যাব গুলো বেশির ভাগই অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, এসব ল্যাব গুলোতে আইসিটি টিচার ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট সংকট রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের গাফলতির কারণে ল্যাবের যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেয়া হয়না। তাই এসব যন্ত্রপাতি অল্পসময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আলোর মুখ দেখতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রকল্পটি।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দেখাশুনা করার জন্য ১ জন জেলা আইটি অফিসার ও ৯টি উপজেলায় ৮ জন উপজেলা আইসিটি অফিসার থাকার কথা থাকলে রয়েছে মাত্র ৪ জন উপজেলা আইটি অফিসার। তারমধ্যে জেলা আইটি অফিসার না থাকায় ১ জন উপজেলা আইটি অফিসারকে জেলার দায়িত্ব পালণ করতে হচ্ছে। ফলে জনবল সংকটের কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এসব ল্যাব সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
তবে জনবল সংকটের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে ও ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বক্তব্য পাওয়া যায়নি।