প্রতিনিধি, কক্সবাজার: বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কক্সবাজারের রামুতে সাতটি করাতকল সিলগালা করেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বাঘখালী রেঞ্জ। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রামুর ফতেখারকুল বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ এসব করাতকল সিলগালা করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রামু বাজার ও তেচ্ছিপুলের বিভিন্ন জায়গায় এসব অবৈধ করাতকল নির্মাণের পর তারা গাছ নিধন করে আসছিল। রোববার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সিকদার পাড়া এলাকা জাফল আলমের ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে মেসার্স রফিক স’মিল সিলগালা করা হয়।
পরে রামু বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কমরুদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স কমর স’মিল, কামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স কহিনুর স’মিল, মাহবুবুল আমের মালিকাধীন মাহবুব ও জসিম স’মিল, কামরুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স ইসলাম স’মিল, মীর কাসেম হেলালীর মালিকানাধীন মেসার্স হেলালী স’মিল, মো. নুরুল হকের মালিকানাধীন জনতা সমিল ও রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স রফিক স’মিল সিলগালা করে করাত, চাকা, চিরাই স্টেন্ডসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
এ সময় সাতটি করাতকল থেকে বিভিন্ন জাতের ১৮৭ ফুট গোল কাঠ ও ৩৭ ফুট চিরাই কাঠ জব্দ করা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার জাহান।
রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান জাহান জানান, নিয়মিত টহল চলাকালে করাতকলগুলো নজরে আসে। প্রত্যেকটির করাতকলের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোনো ধরনের কাগজ আমাদের দেখাতে পারেনি। তাই আমরা আজকে সাতটি করাতকল সিলগালা করে দিয়েছি এবং করাতকলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশ আইনে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, সাতটি অবৈধ করাতকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনোভাবে এ অবৈধ করাতকল থাকবে না। যারা অবৈধ করাতকল বসিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ দিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ২১২টি করাতকলে উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। সাধারণ মানুষ মনে করেন, এভাবে যদি অবৈধ স’মলিগুলো বন্ধ করা হয় তবে সামাজিক বনায়ন ও বন রক্ষা পাবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বনাঞ্চলের আশেপাশে অবৈধভাবে এসব করাতকল স্থাপন করা হলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।