শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) পূর্বাঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে জাতিসংঘের আট শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। খবর: সিএনএন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানতে পারেনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, কঙ্গোর নর্থ কিভু প্রদেশে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এ প্রদেশে কয়েক দিন ধরে দেশটির সামরিক বাহিনী (এফএআরডিসি) ও এম২৩ নামে পরিচিত বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
সামরিক বাহিনীর দাবি, এম২৩ বিদ্রোহীরা হেলিকপ্টারটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রুয়ান্ডা এই বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে বলে এর আগে এফএআরডিসি অভিযোগ করে। তবে রুয়ান্ডার সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
নিহত শান্তিরক্ষীদের ছয়জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন রাশিয়া ও সার্বিয়ার। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে নর্ভ কিভুর প্রধান শহর গোমায় নেয়া হয়েছে।
কঙ্গোর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনটি মনুস্কো নামে পরিচিত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত পাইলট ও ক্রুদের নাম প্রকাশ করেছে তারা। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর
ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, কঙ্গোয় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণহারানো সেনা কর্মকর্তাদের দুজন মেজর ও একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ আলী আওয়ান (পাইলট), মেজর ফাইজান আলী, মেজর মোহাম্মদ সাদ নোমানী (কো-পাইলট), নায়েব সুবেদার সামি উল্লাহ খান (ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার), হাবিলদার মোহাম্মদ ইসমাইল (ক্রু চিফ) ও মোহাম্মদ জামিল। পাকিস্তান ২০১১ সাল থেকে কঙ্গোয় জাতিসংঘ মিশনে একটি বিমান চলাচল ইউনিট মোতায়েন রেখেছে বলে জানায় আইএসপিআর।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরাস এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তার মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক জানান, এম২৩-এর কারণে রুয়ান্ডা, কঙ্গো ও উগান্ডায় কয়েক বছর ধরে সহিংসতা চলছে।