Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:20 am

কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও এক সপ্তাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনের’ সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ওই এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়ারও পরামর্শ কমিটির। গতকাল রাতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। গতকাল সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশে কভিড সংক্রমণ বাড়ছে। মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ তীব্র হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন দেয় সরকার, যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। রোববার রাতের ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সারাদেশে কভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে। বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্য অনিশ্চিত করে।

লকডাউনে স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। চলমান লকডাউনে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। কাঁচাবাজার আবারও উম্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।

গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড হচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনের। এর মধ্যে ১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের কিছু বেশি সময়েই মারা গেছেন ১,৯৭৭ জন। গত তিন দিন ধরে দৈনিক ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। গতকাল কভিডে দেশে সবচেয়ে বেশি ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।