গরম পড়তে শুরু করেছে। প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার আধুনিক পদ্ধতি এয়ারকন্ডিশনার (এসি)। শীতল পরিবেশ তৈরির জন্য বাসা, কর্মস্থল সবখানে প্রায় এসির ব্যবহার চোখে পড়ে। অনেকে তাই একটানা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সময় কাটান। এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
শরীরের আর্দ্রতা কমে যায়
একটানা এসিতে থাকলে শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়। অর্থাৎ দেহের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা টেনে নেয় এসির বাতাস
ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
সবসময় এসিতে থাকলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাছাড়া একটানা এসিতে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়
চোখে সমস্যা হয়
দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার কুপ্রভাব পড়ে চোখেতেও। একটানা এসিতে থাকার ফলে পুরো শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, এতে অনেকেরই চোখ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ফলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে। সেই সঙ্গে চুলকানো ও জ্বালা-পোড়াও হতে পারে
শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে
অনেক সময় এসি মেশিনের যে ছিদ্রগুলো দিয়ে বাতাস বের হয় সেই ছিদ্রগুলো ঠিকঠাক পরিষ্কার থাকে না। ফলে মুখগুলোয় নোংরা জমে জন্ম নেয় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া। টানা এসির বাতাসে থাকলে এসব ব্যাকটেরিয়া বাতাসের সঙ্গে বেরিয়ে শরীরে প্রবেশ করে
শ্বাসকষ্টে সমস্যা হয়
একটানা এসির বাতাসে থাকলে শ্বাসকষ্টে সমস্যা হয়। এছাড়া অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই একটানা এসিতে না থেকে মাঝেমধ্যে গরম পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া উচিত
মাইগ্রেন হতে পারে
এসির বাতাস দ্রুততার সঙ্গে শরীর ঠাণ্ডা করে। এ ঠাণ্ডা মাইগ্রেনের জন্য বিপজ্জনক। কেননা অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে মাইগ্রেন হতে পারে
রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়
একটানা এসিতে থাকলে শরীরের ধমনী বা শিরা সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালনে বিঘœ ঘটে। এতে বিভিন্ন অংশের মাংসপেশিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দেহের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে
জয়েন্টের ওপর প্রভাব পড়ে
এসির অতিরিক্ত বাতাস শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন হাঁটু, কোমর, হাতের কনুই কিংবা ঘাড়ের জয়েন্টে এসির একটানা বাতাস যন্ত্রণা দেয়
সতর্কতা
# অফিসগুলোয় এসি চালু রাখার চল রয়েছে। তাই কক্ষের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা উচিত
# যদি এসি রুমে বাধ্যতামূলক দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে হয়, তাহলে বেশি করে পানি পান করুন
# এসি রুমে সবসময় ব্যবহার করার জন্য একটি গরম কাপড় রাখা উচিত। এসি যদি দীর্ঘক্ষণ চালু থাকে, বন্ধ করার উপায় না থাকে তাহলে গরম কাপড় গায়ে চাপানো যেতে পারে।