প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা) : সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকার ধামরাইয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসীসহ সাংবাদিকরা। এ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন শামসুজ্জামানের মা করিমন নেছা। তবে তিনি মানববন্ধনে দাড়িয়ে কোনো কথা বলতে পারেননি শুধু ডুকরে কেঁদে চোখের পানি ফেলে গেছেন।
শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করেন প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী ও সাংবাদিক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- শামসুজ্জামানের বড় ভাই রবিউল করিমের স্ত্রী উম্মে সালমা, শামসুজ্জামানের মামাতো ভাই ফারুক হোসেন, দিপ্ত টিভির সাভার প্রতিনিধি এমএ হালিম, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির, ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন, ঢাকা টাইমসের সাভার প্রতিনিধি আহমাদ সোহান সিরাজিসহ এলাকাবাসী।

এসময় বক্তারা বলেন, শামসুজ্জামান দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা ছিল গণ মানুষের পক্ষে। সে সবসময় মানুষের কথা তুলে ধরেছে। তার পরিবারের বিরুদ্ধেও দেশ বিরোধী কোনো অভিযোগ নেই। তার ভাই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। অথচ, আজ একটা প্রতিবেদনের জন্য তাকে মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে।
এসময় স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সংবাদ সরকারকে বিব্রত করেনি। একাত্তর টিভির ফারজানা রুপার রং মেশানো সংবাদ সরকারকে বিব্রত করেছে এবং শামস এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সুতরাং ফারজানা রুপা ও একাত্তর টিভির বিচার দাবি করছি।

স্থানীয় আরেক সাংবাদিক আহমাদ সোহান সিরাজি বলেন, যার বড় ভাই রাস্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তার একমাত্র ছোট ভাইকে আজ জোর করে রাস্ট্রের শত্রু বানানো হচ্ছে এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? তাকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতবড় টিম পাঠিয়ে ধরে নেয়া হলো তাতে মনে হয়েছে উনি বিরাট কোন অপরাধী, আপনাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কি আসলেই এতবড় কোন অপরাধ করেছে? উনি একজন মাঠপর্যায়ের সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু গণমানুষের মুখের কথাই তুলে ধরেছেন এতে যদি কোন অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষের সবাই অপরাধী। তাই আমি অনতিবিলম্বে শামসুজ্জামান ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীদের টুটিচেপে ধরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
একই দাবিতে দুপুরে ধামরাই প্রেসক্লাব ও আশুলিয়া রিপোর্টার’স ক্লাবের সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছে।