কনকনে শীতেও সন্ধ্যায় ৭৬৫মেগাওয়াট লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল এক ফেসবুক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। যদিও কনকনে শীতে গতকাল সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং শুরু হয়।

ফেসবুক বার্তায় বলা হয়, ‘কারিগরি ত্রæটির কারণে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। এতে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকায় খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকদের অনাকাক্সিক্ষত অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

এদিকে মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ সংকটের খবর আসতে শুরু করে। সকাল ৯টায় আট হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় আট হাজার ৪৯৫ মেগাওয়াট। এতে ২৪৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। সকাল ১০টায় লোডশেডিং দ্বিগুণ হয়ে যায়। ওই সময় ৪৪৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং দেয়া হয়। সকাল ১০টায় ৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় আট হাজার ৬৩০ মেগাওয়াট।

বেলা ১১টায় ২১০ মেগাওয়াট, দুপুর ১২টায় ৩৪৫ মেগাওয়াট, ১টায় ৫৯০ মেগাওয়াট, ২টায় ৬৯১ মেগাওয়াট, ৩টায় ৪৮৯ মেগাওয়াট ও বিকেল ৪টায় ১২৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। বিকেল ৫টায় লোডশেডিং না থাকলেও সন্ধ্যা ৬টায় ৩৯৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় ৭টায় ৭৫৯ ও সাড়ে ৭টায় ৭৬৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়, যা ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া রাত ৮টায় ৬১৭ মেগাওয়াট ও ৯টায় ৩৫৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়।

সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১১ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট। তবে গ্যাস সংকটে তা তিন হাজার মেগাওয়াটে নেমে গেছে। গতকাল সারাদিন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দুই হাজার ৮৬৬ মেগাওয়াট থেকে তিন হাজার ১৩০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন করেছে। অর্থাৎ সক্ষমতার চার ভাগের এক ভাগ বা তার কাছাকাছি ছিল উৎপাদন।

প্রসঙ্গত, শীত জেঁকে বসায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে গেছে। দিনে-রাতে বিদ্যুতের গড় চাহিদা ৭ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ওঠানামা করছে। যদিও গ্রীষ্মে দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকে। তবে চাহিদার বিপরীতে সংকট শুরুর আগে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে চার থেকে সাড়ে চার হাজার বিদ্যুৎ আসছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০