কনফিডেন্স সিমেন্টের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ এবং পাঁচ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৩০ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৭৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৮৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায়  ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি।

একইসঙ্গে কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৮৮ পয়সা অথচ আগের বছরে ইপিএস ছিল দুই টাকা ৫১ পয়সা। আর গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৬৫ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন যার পরিমাণ ছিল ৬৬ টাকা ৭৩ পয়সা। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই টাকা ৭৪ পয়সা (লোকসান)।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা এক পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৯ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৬৭ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ছয় টাকা ৯৩ পয়সা ও ৭৬ টাকা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ বা তিন টাকা ৩৩ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১২৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২৬ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ২০ লাখ ২৮ হাজার ১৮টি শেয়ার মোট তিন হাজার ১৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮৫ টাকা থেকে ১৩৭ টাকায় হাতবদল হয়।

সিমেন্ট খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৪৫ লাখ ৯ হাজার ২৬৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং  সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২১ দশমিক শূন্য এক এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ১৪।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০