কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে আকস্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। একই সাথে, পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর, কুড়িকাহানিয় গ্রামের লঞ্চঘাটের উত্তর ও দক্ষিণ সীমানা এবং মাদারবাড়িযা খেয়াঘাটা সংলগ্ন এলাকাতেও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিযেছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘গত অমাবস্যার সময় থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামের কপোতাক্ষ নদ এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ ফুট স্থানজুড়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙনে মূল বেড়িবাঁধের তিনশ ফুট এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষা মৌসুমে ঝড় জলোচ্ছাসে বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। বাঁধ ভেঙে ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল, কুড়িকাহানিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই বছর প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করেছে। সে জন্য জরুরীভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০