নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনগুলোয় (কপ) অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তা পালন করে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছি। কারণ আমাদের কার্বন নিঃসরণের হার কম। কিন্তু যেসব দেশ বেশি কার্বন নিঃসরণ করে, তারা বিভিন্ন সময় ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তা বাস্তবায়ন করেনি।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব বিষয়ক এক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে। আমার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন সক্ষমতা বাড়ানো। আগের তুলনায়
আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বেড়েছে। সেটিকে আরও বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মানুষ ও ফসল রক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে ও সামনের দিনেও নেবে। আমরা প্রতি বছর কোটি টাকা ব্যয় করছি বাঁধ নির্মাণে, নদীশাসনে। সবার আগে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে বলেনও তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।
সšে§লনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনজীবনে দীর্ঘমেয়াদি। তবে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কপ সšে§লনে দেশগুলো ৩০ শতাংশ জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে। আমরা মাত্র ৩ শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছি সোলার প্যানেল থেকে। যেখানে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ শতাংশ। তবে আমাদের সুযোগ আছে, পথ আছে কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পা করা হয়নি।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম প্রমুখ।