কফি আর ভ্রু প্লাক করে ‘ভ্যাট’ দিয়ে পুরস্কার পেলেন বদরুল-প্রীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কফি খেয়ে ইএফডিতে ৯ টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পেলেন বদরুল আলম। আর ফেসিয়াল ও ভ্রু প্লাক করে ১৩০ টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার পেলেন প্রীতি রায়। দুইজনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। জানুয়ারি মাসে ইএফডি কেনাকাটায় চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অধীনে প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা করে ভ্যাট দিয়ে দুইজনই পুরস্কার জিতেছেন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটে দুইজনের হাতে ইএফডি লটারির চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

  • চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রমতে, পুরস্কার বিজয়ী বদরুল আলমের বাড়ি নগরীর কোতোয়ালী কাজীর দেউড়ী এলাকায়। তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে কোতোয়ালী সিআরভি তাসপিয়া গার্ডেনে স্পেশাল কফি পান করেন। ইএফডিতে মূল্য পরিশোধ করেন ১৮৯ টাকা, যাতে ভ্যাট ছিলো ৯ টাকা। তিনি ফেব্রুয়ারিতে কেনাকাটায় চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা জিতেছেন।
  • অপরদিকে, প্রীতি রায় এর বাড়ি দক্ষিণ হালিশহর সেইলস কলোনী এলাকায়। তিনি চকবাজার মেহেদীবাগ লুচি পার্লার অ্যান্ড স্লিপিং সেন্টার লিমিটেডে ফেসিয়াল ও ভ্রু প্লাক করিয়েছেন। ইএফডিতে এক হাজার টাকা মূল্য পরিশোধ করেছেন, যাতে ভ্যাট ছিলো ১৩০ টাকা ৪৩ পয়সা। ইএফডিতে ভ্যাট দিয়ে পুরস্কার হিসেবে তিনি ১০ হাজার টাকা জিতেছেন। দুইজনই আগ্রাবাদ ভ্যাট বিভাগের আওতায় প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা করে এই পুরস্কার জিতেছেন।

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন। ইএফডিএমএস হতে ইস্যুকৃত চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি, আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তরের জন্য এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তা এবং চালান ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কমিশনার সবাইকে কেনাকাটার সময় চালান সংগ্রহ করে তা লটারির জন্য সংরক্ষণ করার অনুরোধ জানান।

কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, ইএফডি ও এসডিসি বিষয়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট। ভ্যাট মেলা, ভ্যাট বুথ, ভ্যাট স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ইএফডি প্রচারণার পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত বাংলায় ক্রিকেট সেলিব্রেটি আকরাম খানকে দিয়ে প্রচারণামূলক পোষ্টার ক্রেতাদের ইএফডি চালান নিতে উদ্ভুদ্ধ করছে। ক্রেতারা সচেতন হয়ে ইএফডি চালান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে একদিকে যেমন নিজেদের দেয়া মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে লটারি বিজয়ী হয়ে পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন। যথাযথ নিয়মে ইএফডি চালান ইস্যু করে ব্যবসায়ীরা ও সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করছেন।

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রমতে, ভোক্তা বা ক্রেতা কর্তৃক প্রদত্ত মূসক/ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইএফডি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন হতে চালান গ্রহণ করলে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত ভ্যাট/মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ইতিপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও ৫০০টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে।  এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়া ও ক্রেতাদের/ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতিমাসের ৫ তারিখে এনবিআর একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে লটারি বিজয়ীরা কমিশনারের নিকট হতে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০