Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 6:55 am

কফি হাউজ ও আবাসিক হোস্টেল থেকে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর উত্তরার একটি কফি হাউজ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক হোস্টেল থেকে দুটি ক্যাসিনোর ইলেকট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন মাহাজং উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব উদ্ধার করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাইনিজ নাগরিক কেন্টের মালিকানাধীন উত্তরার ১৩নং সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ’র হবনব কফি হাউজ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং তার বাণিজ্যিক আবাসিক হোস্টেল (সেক্টর-১৪, রোড-১৫, হাউস-৫৬) থেকে দুটি ক্যাসিনোর বিখ্যাত ইলেকট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন মাহাজং উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাউছার আলম পাটওয়ারী এবং কেফায়েতউল্লাহ মজুমদার নেতৃত্বে দেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ২০টি কার্টনে সাত সেট ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিন আমদানি করে। আমদানি করা পণ্যগুলো প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। কেন্টের মালিকানাধীন উত্তরার চাইনিজ হোস্টেল ও হবনব কফি হাউজে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিল, যারা গ্যাম্বলিংয়ে মত্ত ছিল বলে জানা যায়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে হবনব কফি হাউজে ব্যবহার করা ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিনটি আবাসিক হোস্টেলে লুকিয়ে রাখা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা দল আবাসিক হোস্টেল থেকে ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিন দুটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, উত্তরার চাইনিজ আবাসিক হোস্টেলে মাহাজং মেশিনের মাধ্যমে গ্যাম্বলিংয়ের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আবাসিক ও সামাজিক পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছিল এবং ক্রমান্বয়ে সর্বনাশী এই মাহাজং গ্যাম্বলিং বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সংশ্লিষ্ট পণ্য চালানের অপর ক্যাসিনো মাহাজং মেশিনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অতিসত্বর ক্যাসিনো মেশিনগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাস্টমস গোয়েন্দ দল তৎপর রয়েছে। উদ্ধার করা ক্যাসিনো মেশিন দুটির আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমদানি স্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ক্যাসিনো মেশিন দুটি খালাসে আনুমানিক দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা পণ্য চালানের শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।