জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কভিডকালীন সময়ে কাজ অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় পোশাক শ্রমিকদের ঝুঁকিভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কনফেডারেশন অব লেবার (বিসিএল)। গতকাল কভিডকালে শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ সময় নেতারা বলেন, ‘সরকার ঘোষিত লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্পকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি ও যাতায়াতের জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও অনেক মালিকরাই কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শ্রমিকদের যাতায়াতে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও বেশিরভাগই কারখানাই সে ব্যবস্থা করেনি। ফলে কভিড মহামারিতে শ্রমিকদের ঝুঁকি নিয়ে কারাখানায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
তারা আরও বলেন, ‘মালিকরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেও আদতে তারা কোনো ধরনের পরামর্শ ছাড়াই নিজেদের সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছে।’
নেতারা বলেন, ‘কভিড মহামারিতে কর্মক্ষেত্রে থাকা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরিজীবীদের ঝুঁকি ভাতা দেয়া হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পোশাকশিল্পের সার্বিক উন্নয়নে ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলা পোশাক শ্রমিকদের কোনো ধরনের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা হয় না। আমরা বাংলাদেশ কনফেডারেশন অব লেবারের (বিসিএল) পক্ষ থেকে কভিডকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সব পোশাক শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি করছি। পাশাপাশি ২০ রমজানের ভেতরে সব শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে। এ মুহূর্তে করোনার অজুহাতে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না।’
মো. বাহারানে সুলতান বাহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সুলতানা বেগম, মো. নাজিম উদ্দিন আকন্দ, মাহাতাব উদ্দিন সহিদ, শামীম খান, আলমগীর রনি, জাহানারা বেগম, শামীমা শিরিন, এইচএম বিল্লাল, কফিল উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি