করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে পারিবারিক জীবন এলোমেলো করে দিয়েছে। সময়ে শিশুসন্তানের প্রতি আলাদা মনোযোগ দিতে হয়। তাদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। তাদের বোঝাতে হয় প্রজ্ঞার সঙ্গে।
সন্তানের আচরণের আদর্শ হোন: বাবা-মা ও অভিভাবক যদি নিজে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো চর্চা করেন এবং অন্যের প্রতি সমবেদনার সঙ্গে আচরণ করেন, বিশেষ যারা অসুস্থ বা ঝুঁকির মুখে রয়েছে তাদের সঙ্গে, তাহলে আপনার শিশু ও কিশোর সন্তানেরা আপনার কাছ থেকে শিখবে।
প্রতিটি দিনের শেষে ওই দিনটি সম্পর্কে এক মিনিট ভাবুন। আপনার শিশুদের করা একটি ইতিবাচক বা মজার বিষয় সম্পর্কে তাদের বলুন। আপনি আজ ভালো যা কিছু করেছেন সেজন্য নিজের প্রশংসা করুন। আপনি একজন তারকা!
খেলার মাধ্যমে শেখা: লাখ লাখ শিশু স্কুল বন্ধ হওয়া এবং তাদের নিজ বাড়িতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার বিষয়টির সম্মুখীন। এ পরামর্শটি খেলার মাধ্যমে শেখার বিষয়Ñএটি এমন কিছু, যা সব বয়সি মানুষের জন্যই আনন্দদায়ক হতে পারে!
খেলার ধরন: বিভিন্ন ধরনের এমন অনেক খেলা রয়েছে যেগুলো একইসঙ্গে আনন্দদায়ক ও শিক্ষামূলক হতে পারে।
ভাষা, সংখ্যা, বস্তু, নাটক ও সংগীতবিষয়ক খেলাগুলো শিশুদের নিরাপদ ও আনন্দদায়ক উপায়ে নতুন কিছু শেখার এবং নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয়।
নড়াচড়া-সংক্রান্ত খেলা: আপনার শিশুদের পছন্দের গানের সঙ্গে একটি নাচের কোরিওগ্রাফ তৈরি করুন। একজন নাচের একটি মুদ্রা করে দেখাবে এবং বাকিরা অনুকরণ করবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকই নেতৃত্বের সুযোগ পাবে। কে সবচেয়ে বেশিবার পায়ের আঙুল স্পর্শ করতে পারে, তার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে দিন এক মিনিটের মধ্যে জাম্পিং জ্যাকস, উইন্ডমিলের মাধ্যমে পায়ের আঙুলের স্পর্শ করা।
একে অপরের ‘আয়না’ হয়ে যান মুখের অভিব্যক্তি, নড়াচড়া ও শব্দ অনুকরণ করুন। একজন নেতা হিসেবে শুরু করতে পারেন এবং পর্যায়ক্রমে অন্যরাও নেতৃত্বে ভূমিকায় আসার সুযোগ পাবে। আবার কখনও কোনো নেতা ছাড়াই এটা চেষ্টা করে দেখুন!
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে