Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:57 am

কভিডকালে শিশুর প্রতি আলাদা মনোযোগ

করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে পারিবারিক জীবন এলোমেলো করে দিয়েছে। স্কুল বন্ধ হওয়া, দূর থেকে কাজ করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাÑএগুলো যে কারও জন্যই নতুন বিষয়, বিশেষ করে মা-বাবার জন্য। এই নতুন (সাময়িক) পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করতে মা-বাবা ও সেবাদানকারীদের একগুচ্ছ সহজ টিপস বা পরামর্শ  দেওয়ার জন্য আমরা ‘প্যারেন্টিং ফর লাইফ লং হেলথ ইনিশিয়েটিভ’-এর সঙ্গে যোগ দিয়েছি।

কভিডকালে সন্তানের যত্ন-সংক্রান্ত করণীয়

ক. কভিড-১৯ সম্পর্কে আলোচনা করা, খ. একজন আরেকজনকে সময় দেওয়া, গ. ৩. ইতিবাচক থাকা, ঘ. গোছালো হওয়া, ঙ. খেলার মাধ্যমে শেখা, চ. শিশুদের অনলাইনে নিরাপদ রাখা, ছ. বাড়িতে পারিবারিক সম্প্রীতি, জ. শান্ত থাকা এবং চাপ সামাল দেওয়া, ঝ. খারাপ আচরণ, ঞ. যখন আমরা রেগে যাই, ট. অর্থনৈতিক চাপের সময়ে? পারিবারিক বাজেট করা, ঠ. জনবহুল বাড়ি ও কমিউনিটিতে সন্তানের যতœ, ড. প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিপালন, ঢ. কিশোর-কিশোরীদের প্রতিপালন;

ণ. নবজাত শিশুর প্রতিপালন

এক. কভিড-১৯ সম্পর্কে আলোচনা: শিশুদের সঙ্গে কথা বলুন। তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কিছু না কিছু শুনে থাকবে। নীরবতা ও গোপনীয়তা শিশুদের সুরক্ষা দেয়? না। বরং সুরক্ষা দিতে পারে সততা ও খোলামেলা আলোচনা। তারা কতটা বুঝতে পারবে তা ভেবে দেখুন। আপনিই তাদের সম্পর্কে সবচেয়ে ভালোভাবে জানেন।

দুই. মন খোলা রাখুন এবং শুনুন: আপনার শিশুকে নির্দ্বিধায় কথা বলার সুযোগ দিন। তাদের খোলামেলা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন এবং তারা ইতোমধ্যে কতটা জানে তা বোঝার চেষ্টা করুন। তিন. সৎ হোন: সর্বদা সততার সঙ্গে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার সন্তানের বয়স কত এবং তারা কতটা বুঝতে পারবে সে সম্পর্কে ভাবুন। চার. সহায়ক হোন: আপনার শিশু আতঙ্কিত বা বিভ্রান্ত থাকতে পারে। তারা কেমন অনুভব করছে, তা প্রকাশ করার সুযোগ করে দিন এবং আপনি যে তাদের পাশে আছেন সেটা তাদের নিশ্চিত করুন। পাঁচ. উত্তর জানা না থাকলেও সমস্যা নেই: আমরা জানি না, তবে এটি জানার চেষ্টা করছি; অথবা আমরা জানি না, তবে আমরা মনে করিÑএভাবেও তাদের বলা যায়। এ বিষয়টিকে আপনার সন্তানের সঙ্গে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করুন। 

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে