শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের উহানের বিজ্ঞানীরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে একজোট হয়ে জীবাণু অস্ত্র তৈরি করার কয়েকদিনের মধ্যে কভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। উহানের ল্যাবে করোনাভাইরাস দিয়ে একটি নতুন মিউট্যান্ট ভাইরাস তৈরি করা হয়, যা থেকে বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। খবর: দ্য সান।
চীনের বিজ্ঞানীরা উহানের ল্যাবে গোপনে একটি পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন। সেই উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ভাইরাসটি কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। গোপনীয় প্রতিবেদন, অভ্যন্তরীণ তথ্য, বৈজ্ঞানিক কাগজপত্র ও ই-মেল, চিঠিপত্র ও একাধিক নথির ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি স্পষ্ট যে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি কভিড-১৯ ভাইরাস তৈরির চেষ্টা করছিল। গোপনে এই পরীক্ষা চলছিল। এই গবেষণার কোনো তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। চীনের সেনাবাহিনী ভাইরাসটি তৈরি করতে সহযোগিতা করছিল। এ প্রকল্পে তারাই অর্থায়ন করেছিল। গবেষণার প্রয়োজনীয় তথ্য চীনের সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে।
২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের উৎস সন্ধান শুরু করে উহানের ল্যাবটি। দক্ষিণ চীনের গুহা থেকে বাদুড় ও নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছিল। একাধিক বিজ্ঞানী ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন। এর ফল প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ইউনান প্রদেশের মোজিয়াংয়ের একটি মাইনস্যফটে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পান গবেষকরা। যদিও চীন বিশ্বের কাছে এই তথ্য চেপে গিয়েছিল। সেই ভাইরাসটি বর্তমানে কভিড পরিবারের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারপর থেকে এই গবেষণা উহানে সরিয়ে নেয়া হয়। সেখানে গবেষণার দায়িত্বে ছিলেন সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা মনে করছেন, উহানকে চীন একটি বেসামরিক গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রচার করলেও এই গবেষণাগারটি মূলত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে। ২০১৭ সাল থেকে সেনাবাহিনীর পরীক্ষাগার হিসেবে উহানের ল্যাব ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বের কাছে একাধিকবার তা অস্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এমনকি সব নথিপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। মূলত জীবাণু অস্ত্র ও টিকা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছিল। গবেষণার একপর্যায়ে ভাইরাসটি দুর্ভাগ্যক্রমে ছড়িয়ে পড়ে।