শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনে কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, রাজধানী বেইজিংয়ের সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সশরীরে স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। খবর: এনডিটিভি।
বেইজিং প্রশাসন জানিয়েছে, ঝেংঝাউ ও মধ্য হেন্নান প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত এক দিনে এ দুই প্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮২৪ জন, যা এপ্রিলের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। মে মাসের পর প্রথম মৃত্যু দেখেছে দেশটি। গত শনিবার কভিডে দুজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি যাতে আগের মতো মারাত্মক হয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য বেইজিংয়ে কঠোর হয়েছে প্রশাসন।
কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমানবন্দরে চলছে করোনার পরীক্ষা। রিপোর্ট পজিটিভ হলে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টারে। নতুন করে করোনার বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বেইজিংয়ে দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতাসমাগম নেই।
রাজধানীর ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রি করেন ৩২ বছরের জিয়া। তিনি জানিয়েছেন, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। এ কারণে দোকানে ক্রেতার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে।
পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে বেইজিংয়ে লকডাউন জারি করা হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ফের শুরু হবে গণপরীক্ষা। রিপোর্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশনে যেতে হবে।
গুয়াংঝুতে এরই মধ্যে লকডাউন দেয়া হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় এ শহরের প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দাকে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। সম্প্রতি করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। নাইট ক্লাব ও থিয়েটারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
চীনে করোনার দাপট শুরু হওয়ার প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিশেষ করে শূন্য কভিড নীতির প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। গতকাল সোমবার এশিয়ার সব পুঁজিবাজারের সূচক হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করে। প্রভাব পড়ে ইউরোপ ও আমেরিকার পুঁজিবাজারেও।