কভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকি আছে: সিডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকিতে আছে বিশ্ব। তবে সেই ঢেউ শুরু হলেও তা আগের তুলনায় তীব্র হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়দোস ড্যানিয়েল এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, এরই মধ্যে বহু মানুষের দেহে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। বহু মানুষ টিকাও পেয়েছেন। সে কারণে চতুর্থ ঢেউ এলেও তা তীব্রতর হওয়ার শঙ্কা কম। তবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন নিলি ড্যানিয়েল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।

নিলি ড্যানিয়েল সতর্ক করে বলেন, ‘করোনার চেয়েও সামনে আরেক বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ভয়াবহ বিপদ আনছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বেই অ্যান্টিবায়োটিকের যেনতেন ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন অ্যান্টোবায়োটিক নিতে নিতে এমন সময় আসবে যখন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। তখন একটু হাত কাটলেও মৃত্যু হতে পারে। বিশ্ব তখন ফিরে যাবে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগের যুগে।’

৭৫ বছরেরও বেশি সময় বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা শনাক্তকরণ, প্রতিকার ও মোকাবিলা, নতুন রোগের জীবাণু আবিষ্কার ও জনস্বাস্থ্য গবেষণায় বিভিন্ন দেশের সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করছে সিডিসি। বাংলাদেশসহ ৫০টি দেশে সিডিসির অফিস আছে।

বাংলাদেশে তারা সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এর আগে নিপাহ ভাইরাস শনাক্তকরণে এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিডিসি কাজ করেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০