নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড টিকার বুস্টার ডোজ সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় আছি। অ্যাপ আপডেট করার কাজ চলছে। আশা করি, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এটা শুরু করা যাবে।’ গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দিচ্ছে। আমরাও বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনার যারা তাদের আমরা বুস্টার ডোজ দেব। এ বিষয়ে কাজকর্ম চলছে। যে অ্যাপ ছিল সেটাকে আমরা ঠিক করে নিচ্ছি। তালিকা তৈরি করছি। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৬ জন টিকা পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৩ জন দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় ধনী কিছু দেশ বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে নাগরিকদের, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।
অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে ছিলেন না বাংলাদেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশের মতো মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম বক্তব্য দেন।
শারফুদ্দিন বলেন, ২০০০ সালে দেশে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ রাতকানা ছিল। নিয়মিত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে তা এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে চলা অভিযানে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুর শরীরে যত ধরনের ভিটামিন দরকার তার সব পাওয়া যায়।