নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে মারা গেছেন আরও ১৫ জন, সেই সঙ্গে এক হাজার ৪৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গত এক দিনে নতুন এক হাজার ৪৬৯ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার লাখ ১৭ হাজার ৪৭৫ জন। আরও ১৫ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৪৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৩৫ হাজার ২৭ জন হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর চার লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে চার কোটি ৮৭ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৫২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪২৩টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন, নারী চারজন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। আটজন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট দুজন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ছয় হাজার ৩৬ জনের মধ্যে চার হাজার ৬৪৬ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৩৯০ জন নারী। তাদের মধ্যে তিন হাজার ১৫১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া এক হাজার ৫৯০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৫১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে তিন হাজার ১৫৪ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ১৯৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৭৩ জন খুলনা বিভাগের, ২০১ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫০ জন সিলেট বিভাগের, ২৬৫ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
