নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৮৩ জন। গতকাল বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এ সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত এক হাজার ৩৮৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ জন হলো। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৩ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৯৩২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ৬৭ হাজার ২৪ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে তিন কোটি ২২ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৮৩ হাজারের ঘরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৩টি ল্যাবে ১২ হাজার ৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ১০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী সাতজন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট তিনজন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া পাঁচ হাজার ৯৩ জনের মধ্যে তিন হাজার ৯৪৯ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ১৪৪ জন নারী।
তাদের মধ্যে দুই হাজার ৫৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া এক হাজার ৩৮১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৬১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে দুই হাজার ৫২৩ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৫২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪২৮ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৪ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।