শনাক্ত ১০৭১

কভিডে এক দিনে মৃত্যু ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, আরও এক হাজার ৭১ জন। গতকাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত এক হাজার ৭১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৪৫৩ হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মারা গেছেন সাত হাজার ৭৮১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৩৭ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৬৬ হাজার ৮০১ হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তা পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে সাড়ে আট কোটি ৯৬ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৬ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৭টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৪০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব, অর্থাৎ সর্বমোট ১৮১টি ল্যাবে ১২ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার আট দশমিক ২৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ আট হাজার ৭২৯টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন ১৭ পুরুষ ও আট নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং দুজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, চারজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন করে মোট দুজন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া সাত হাজার ৭৮১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯১২ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৮৬৯ জন নারী। তাদের মধ্যে চার হাজার ২৬৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া এক হাজার ৯৬৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে চার হাজার ২৯৮ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৩১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৩৯ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯৫ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০