Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:03 am

কভিডে এক দিনে সুস্থ ১৫ লাখ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিডে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত) আক্রান্ত রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। এদিন কভিড থেকে আরোগ্য হয়েছেন ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৬ জন। খবর: এনডিটিভি।

এ সময় বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৫ জন এবং কভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ২৫০ জনের।

মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে ছিল জার্মানি।

এদিন সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

জার্মানিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৫২৩ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে কভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ২৬৩ জন এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৯৯৩ জন।

এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছেÑইতালি (নতুন আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৮৬১, মৃত ১৩৩), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৫০ হাজার ৫৫১, মৃত ১৫৮), দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ৫০ হাজার ৫৫১, মৃত ১৩৬), যুক্তরাজ্য (মৃত ২১৬, নতুন আক্রান্ত সাত হাজার ৭১০), ব্রাজিল (মৃত ১৯৫, নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ১২২) ও রাশিয়া (মৃত ১৬১, নতুন আক্রান্ত সাত হাজার ৭১০ জন)।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৫। তাদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন তিন কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭০ জন এবং গুরুতর অসুস্থ ৪১ হাজার ৩৭৫ জন।

ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫১ কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৪ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬২ লাখ ৫৯ হাজার ১১০ জনের। এছাড়া বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৬ কোটি ৬৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৯ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

এরপর দ্রæতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।