Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:37 am

কভিডে এক দিনে ৪৩ মৃত্যু, ২১ সপ্তাহে সর্বোচ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিডে এক দিনে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর; সেদিন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে আট হাজার ৩৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১০ হাজার ৮০০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

এ হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ২৭ হাজার ৭২৮ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। তবে উপসর্গবিহীন রোগী আক্রান্তরা এ হিসাবেই আসেনি।

আগের দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে সক্রিয় রোগী কমতে শুরু করেছে।

ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছিল। তা কমতে কমতে গতকাল নেমে এসেছে ২০ দশমিক ০৩ শতাংশে।

মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৬২১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের বেশি।

যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন একজন। তাদের ২৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, আটজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৬৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ হাজার ৭৯১ জন, রাজশাহী বিভাগে দুই হাজার ১০৩ জন, খুলনা বিভাগে তিন হাজার ৬৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৬৩ জন, সিলেট বিভাগে এক হাজার ৩০১ জন, রংপুর বিভাগে এক হাজার ৩৯২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৮৭৩ জন।

৪৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে সাতজন ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানাচ্ছে, মোট ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৩১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৫৩৬ জন, বাড়িতে ৭৮০ জন ও হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে ৩৫ জনকে।