নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিড-১৯ সংক্রমণ আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চারজন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২ অক্টোরব এর চেয়ে বেশি তিন দশমিক ৪১ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ৯৭ শতাংশ।
শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৪০ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮১ জনে। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে পুরুষ এক ও নারী চারজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৫২টি ল্যাবরেটরিতে ২০ হাজার ৭৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৯ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮১১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭৫ শতাংশ।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে কভিডে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত কভিডে মারা যাওয়া ২৮ হাজার ৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৬০ জন ও নারী ১০ হাজার ১২১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত ২১৪ রোগী সুস্থ হন। এ নিয়ে কভিড থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দুই, রাজশাহীতে এক ও খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে কভিড সংক্রমণের ৫২তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি) নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে ৪৮ দশমিক এক শতাংশ। একই সঙ্গে মৃত্যুও বেড়েছে ৪১ দশমিক সাত শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে এক লাখ ৩২ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ২১৩ জনের কভিড শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ জন। তবে পূর্ববর্তী সপ্তাহে (২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর) এক লাখ ২৬ হাজার ৯৫১ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে কভিড শনাক্ত হয় দুই হাজার ১৭০ জনের। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১২ জন।