নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক সপ্তাহে শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। গত এক সপ্তাহে দেশে মোট এক হাজার ৭৫৮ জন শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল এক হাজার ৮৮২ জন। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ।
আর গত সাত দিনে মারা গেছেন আরও ২০ জন, আগের সপ্তাহে কভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭ জন। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।
মৃত ২০ জনের মধ্যে ১০ জনেরই কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধি বা কোমরবিডিটি ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে, ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিসে এবং ৩০ শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত এক দিনে কভিডে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের দিন একজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৬০ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন শনাক্ত হওয়া ২৬০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৩ জন। মারা যাওয়া দুজনকে নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২৮ হাজার ৫০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৬ জন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৩০ শতাংশ, তার আগের দিন ছিল এক দশমিক ২২ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক এক শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২০ হাজার ১০৫টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ২৯টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৩০৭টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭২২টি।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনই পুরুষ। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৯৪৫ জন আর নারী ১০ হাজার ১০৫ জন।
মারা যাওয়া দুজনের বয়সই ৬১ থেকে ৭০ বছরের ভেতরে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা আর আরেকজন রংপুর বিভাগের। দুজনই সরকারি হাসপাতালে মারা যান।
