নিজস্ব প্রতিবেদক: গত এক দিনে দেশে ৫৪৮ জনের শরীরে কভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গত এক সপ্তাহে সারাদেশে নতুন শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ কমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ৫ হাজার ৪৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৪৮৬ জন। গত এক সপ্তাহে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এর আগের সপ্তাহে মারা গিয়েছিলেন ৩৪ জন। সে হিসেবে মৃত্যু কমেছে ৬ শতাংশের মতো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তাতে এ পর্যন্ত শনাক্ত মোট কভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৩২৩ জন। তাদের মধ্যে মোট ২৯ হাজার ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ও রোববার টানা দুদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশর নিচে ছিল। রোববার এক দিনে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ হয়েছে, আগের দিন এ হার ছিল ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ২৭৭ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে হলো ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০। নতুন শনাক্ত ৫৪৮ জনের মধ্যে ২৪৪ জন ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৯ জেলাতেই গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন রাজশাহী বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর বিভাগের একজন করে মারা গেছেন। মৃত পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ, তিনজন নারী। তাদের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে।
গত ২২ মে’র পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়। ২০ জুলাইয়ের পর থেকে আবার তা হাজারের নিচে থাকছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ মাস পর গত বৃহস্পতিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়ায়।
