নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় কভিডের নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। আগের দিন দুজন মারা গেলেও ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। ২৪ ঘণ্টায় ২৬৬ জনের দেহে কভিড শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ছিল ২১৩ জন।
আগের দিন সংক্রমণের হার ছিল এক দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হয়েছে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৩৬টি ল্যাবে কভিড ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫১টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬২৮টি।
এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সারাদেশের বিভিন্ন বুথ থেকে ১৯ হাজার ৬৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নতুন ও পুরোনো নমুনা মিলে এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৭০টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ছয় লাখ ৫৪ হাজার ২১৪টিতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪১টি।
দেশে মোট কভিড সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১৪ জনের শরীরে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল এক দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৭৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগের দিন সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ২২৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে কভিড আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
কভিড সংক্রমণ নিয়ে মোট ২৭ হাজার ৯৩৪ জন মারা গেলেন। সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মৃতদের দুজন পুরুষ ও চারজন নারী। এ নিয়ে দেশে কভিডে পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৯ জনের। এছাড়া নারী রোগী মারা গেছেন ১০ হাজার ৫৫ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগীর মৃত্যুর হার ৬৪ শতাংশ, নারী রোগী মৃত্যুর হার ৩৬ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে ঢাকায় মারা গেছেন একজন, রাজশাহীতে দুজন ও সিলেটে তিনজন। এর মধ্যে চারজন সরকারি হাসপাতালে, একজন বেসরকারি হাসপাতালে ও একজন বাসাবাড়িতে মারা গেছেন। এছাড়া দেশের বাকি পাঁচ বিভাগে কভিডে কেউ মারা যাননি।