নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে এক দিনে ১৯ করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় কভিডে মৃত্যু হয়নি কারও। এক দিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন সর্বশেষ ২১ মে, সেদিন ১৬ নতুন রোগী পাওয়ার খবর দিয়েছিল সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৮৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার কিছুটা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল এক দশমিক ২২ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩২৫ হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা আগের দিনের মতোই ২৯ হাজার ৪৩০ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ কভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৬ জন।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে আটজন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া কক্সবাজারে তিনজন, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন করে; চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাজশাহী ও বগুড়ায় একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশের বাকি ৫৬ জেলায় কারও নমুনায় সংক্রমণ ধরা পড়েনি। রংপুর বিভাগের আট জেলায় কোনো নমুনা পরীক্ষাই হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে এসেছেন আটজন এবং ছাড় পেয়েছেন সাতজন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫১ হাজার ৮৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট চার লাখ ২২ হাজার ২১৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ৬৭৪ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হন।
প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।