নিজস্ব প্রতিবেদক : আগের ১৬ দিনের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো কভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১০ রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল শনিবারের বুলেটিনে নতুন যে ১০ রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়, তার ৭ জনই ঢাকা জেলার। এর বাইরে খুলনা, কুষ্টিয়া ও সিলেটে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ জন। টানা সপ্তদশ দিন মৃত্যুহীন যাওয়ায় মহামারিতে মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে। গত ২০ এপ্রিলের পর কভিডে নতুন কারও মৃত্যুর খবর আসেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে।
মহামারি শুরুর দিকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে একটানা ১৭ দিন কখনোই মৃত্যুহীন ছিল না। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন ২১৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৮৬ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৬১ লাখের বেশি।