নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক দিনে শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা আরও বেড়েছে; করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ২৩২ জনের মধ্যে। এর আগে গত ১৭ মার্চ ২৩৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন মাস পর ফের দুইশ’র বেশি রোগী শনাক্তের খবর এলো।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১৩ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে।
১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত রোববার আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। সেদিন সারাদেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ১২৮ নতুন রোগী। মঙ্গলবার শনাক্ত রোগী আরও বেড়ে হয় ১৬২ জন। বুধবার তা ২০০ ছাড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ২৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১৬ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জে ২ জন; বরিশালে দুজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, ফরিদপুর, কুমিল্লা, জয়পুরহাট, বগুড়ায় ১ জন করে কভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮৮ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ জন সেরে উঠলেন। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।