কভিডে দুই বছরে সর্বনিন্ম শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড আক্রান্ত হয়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে মহামারি শুরুর সময়ের পর্যায়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৩ জন। এর আগে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ৪১ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর দুই বছর ধরে চলা মহামারিকালে দেশে কখনও দৈনিক নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা এর নিচে আসেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা পুরো মহামারিকালে সর্বনি¤œ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ২৭ মার্চ সকাল ৮টা) করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশ করোনায় মৃত্যুহীন। এর আগে ২৬ মার্চ, ২৫ মার্চ ও ২৪ মার্চ করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত শনিবার ৬৫ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে সাত হাজার ৯৯৪টি, আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সাত হাজার ৯৭১টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮৩টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭১টি।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ জন, আর এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২৯ হাজার ১১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৭৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৪ জন।

নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেশে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৩৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ২৬ জনই ঢাকা জেলার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০