নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক দিনে কভিডে ৩৫৭ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা ১৪ সপ্তাহের সর্বোচ্চ। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৩৫ জন বেশি; গত বুধবার ২৩২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সবশেষ ৮ মার্চের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে, সেদিন ৪৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে।
১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত রোববার আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। সেদিন সারাদেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ১২৮ জন নতুন রোগী। মঙ্গলবার শনাক্ত রোগী আরও বেড়ে হয় ১৬২ জন। বুধবার দুইশ ছাড়ানোর পর গতকাল বৃহস্পতিবারই সাড়ে তিনশ ছাড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৩৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩২৮ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ১৬, কক্সাবাজারে ৭, নারায়ণগঞ্জে ও বরিশালে ২ জন করে এবং গাজীপুর, চাঁদপুরে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা আগের দিন ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১১৪ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬১৮ জন সেরে উঠলেন। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশে। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশে।