কভিডে দৈনিক শনাক্ত বেড়ে ২২৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে টানা তৃতীয় দিন দুই হাজারের বেশি কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২২৪১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার ২ হাজার ৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০১ জন। আর সবশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবারের চেয়ে বেশি, ২৫৮৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জন।

গত এক দিনে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৪৫ জন আছে। নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

গত ২৪ নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল। গত এক দিনে আরও ১৫২ জন কভিড রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৭ হাজার ২১৯ জন সেরে উঠলেন।

দেশে পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শিশুদের জন্য যে টিকা প্রয়োজন, তা জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার জানিয়েছিলেন, ১২ বছরের কম বয়সীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা। টিকা নেয়ার জন্য ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী এই শিশুদের জš§ নিবন্ধন সনদের নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।

ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘বড়দের যে টিকা দেয়া হয়েছে, তা শিশুদের দেয়া যাবে না। তাদের জন্য আলাদা টিকা লাগবে, শিশুদের টিকা দেয়ার উপযোগী করে তৈরি করা পয়েন্ট টু এমএলের সিরিঞ্জ প্রয়োজন, যা এখনও দেশে এসে পৌঁছায়নি।’

দেশে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে টিকা পাওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয় ১৮ বছরে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হয় গত বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ১২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি লাখ ৯৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০