নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আবার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে কভিড সংক্রমণ; গত এক দিনে ৫৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা ১৫ সপ্তাহের সর্বোচ্চ। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এ সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৬৩ জন বেশি; শনিবার ৪৩৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সর্বশেষ ৪ মার্চের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন এক দিনে, সেদিন ৬০৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে এসেছিল।
সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। এক সপ্তাহের মাথায় তা পৌঁছালো ছয়শ’র কাছাকাছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৫৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে ময়মনসিংহ বিভাগে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা আগের দিন ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৪৯ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন সেরে উঠলেন। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৩ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৮৭ লাখ।