নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে কভিড সংক্রমণ কমার ধারায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে মহামারির শুরুর পর্যায়ে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
এরপর থেকে গত দুই বছরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সব সময় শতাধিক ছিল। ২০২১ সালে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দাপটের সময় এবং এ বছর ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে তা ১৬ হাজারের ঘরও ছাড়িয়েছিল। টানা তিন মৃত্যুহীন দিন কাটানোর পর শুক্রবার দুজনের মৃত্যুর খবর এলেও এরপর ২৪ ঘণ্টা আবার মৃত্যুহীন দিন দেখল বাংলাদেশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫২৭ জন। আর মহামারিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের মতোই রয়েছে ২৯ হাজার ১১৪ জনে। এই সময়ে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ১৪ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এই পর্যন্ত শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬১ শতাংশের বেশি।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে দুজন এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে মোট তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৭৭ লাখের বেশি।
